শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক।।
তীব্র তাপ প্রবাহে নাকাল পুরো দেশের মানুষ। তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। একটু স্বস্তি পেতে ঘরে এসি ব্যবহার করছেন। অনেকে আবার বেশি আরাম পেতে ঘরে এসি এবং ফ্যান একসঙ্গে চালিয়ে রাখেন।
অনেকেই ঘর বেশি ঠান্ডা করতে ২ টনের এসি কেনেন। আসলে এসির টন নির্বাচন করতে হয় ঘরের মাপ অনুযায়ী। ১০০-১৩০ বর্গফুট – ০.৮-১ টন এসি, ১৩০-২০০ বর্গফুট – ১.৫ টন এসি, ২৫০-৩৫০ বর্গফুট-২ টন এসি। এখন ৫০০ বর্গফুটের চেয়ে বড় বা হলঘর ঠান্ডা করতে একাধিক এসির প্রয়োজন হবে।
যাদের ঘরে ২ টনের এসি ব্যবহার হয় তাদের তুলনামূলক বিদ্যুৎ খরচও বেশি হয়। তবে চলুন কয়েকটি টিপস জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ২ টনের এসি ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ খরচ কমাতে পারবেন-
১. ২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে এসি চালানো অত্যন্ত ভালো হতে পারে ৷ এর এক ডিগ্রি কম এসির তাপমাত্রা হলে অতি সহজেই ৬ শতাংশ বিদ্যুতের বিল বেড়ে যেতে পারে ৷ এই কারণেই এসির তাপমাত্রা ২০ থেকে ২৪ ডিগ্রি রাখাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ৷ এতে ঘরও ঠান্ডা হবে আর বিদ্যুতের বিলও কম আসবে ৷
২. এসির একটি ফিল্টার আছে যা ধুলোবালি আটকায় ৷ যদি সেই ফিল্টার নোংরা হয়ে যায় সেক্ষেত্রে এসির হাওয়া ঠান্ডা হয়ে যায় ৷ ফলে বিদ্যুতের বিল বাড়তে থাকে, পকেটে চাপও পড়ে ৷ এসির ফিল্টার প্রতি মাসে পরিষ্কার করতে হবে ৷ বছরে কম করে ২ থেকে ৩ বার এসি সার্ভিস করতে হবে ৷
৩. এসি ব্যবহার করার সময়ে মনে রাখতে হবে কোনো ভাবেই ঘরের ঠান্ডা বাতাস বাইরে না যায় ৷ ঘরের দরজা, জানলা সেই কারণেই বন্ধ রাখতে হবে সব সময়েই ৷ দরজায় ক্লোজার লাগিয়ে দিতে পারেন ফলে কোনো ভাবেই ঠান্ডা হাওয়া বাইরে না যেতে পারে।
৪. ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে লাগাতার এসি চালাবার প্রয়োজন হবেনা ৷ ফলে আয়ত্তের মধ্যেই থাকবে বিদ্যুতের বিল ৷
৫. ফ্যান বা পাখা অত্যন্ত ভাল একটি সঙ্গী গরমের দিনে ৷ পাখা ঘরের মধ্যে ঠান্ডা বাতাস ঘরের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে দেয় ৷ ফলে এসি চালিয়ে বন্ধ করে দিন, ঘরে যে পাখাটি চলছে সেটি সহজেই চারিদিকে ঠান্ডা হাওয়া ছড়িয়ে দেবে ৷
৬. রাতের বেলায় ঘুমাতে যাওয়ার সময় এসিতে টাইমার লাগিয়ে দিন যাতে ১-২ ঘণ্টা পরে নিজে থেকেই এসি বন্ধ হয়ে যায় ৷ সারারাত এসি না চালিয়েও ঘর ঠান্ডা থাকে ৷ বিদ্যুৎ বাঁচানোর জন্য প্রতিদিন টাইমার দিয়ে ব্যবহার করুন এসি ৷ সারাক্ষণও চালাতে হবেনা, একই সঙ্গে বিদ্যুতের বিলও হবে কম ৷
সূত্র-টাইমস অব ইন্ডিয়া।